জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ অপুষ্টিজনিত রাতকানা, অন্ধত্ব থেকে রক্ষাসহ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে পটুয়াখালী জেলায় ১,৮২৮ টি কেন্দ্রে ২ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
১ জুন শনিার জাতীয় ভিটামিন ‘এ” প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে পটুয়াখালীতে জেলার ১ টি পৌরসভা ও ৮ টি উপজেলার ৭৩ টি ইউনিয়নের ২৩৭ টি ওয়ার্ডে ১,৮২৮ টি কেন্দ্রে ২ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এ ক্যাম্পেইন বাস্তবায়নে উপজেলা ও জেলা সংশ্লিস্ট স্বাস্থ্য বিভাগসহ বিভিন্ন বেসরকারী সংস্থার কর্মকর্তা ও স্বেচ্ছাসেবক এবং সাংবাদিকদের নিয়ে ওরিয়েন্টেশন ও কর্মপরিকল্পনা সভা করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
গত ৩০ মে বৃহষ্পতিবার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন সভায় সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ভূপেন চন্দ্র মন্ডল জানান, ১ জুন শনিবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ১৮২৮ টি কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ১১ মাস কম বয়সী ২৮ হাজার শিশুকে ১ টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাসের কম বয়সী ২ লক্ষ ৩২ হাজার শিশুকে ১ টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
এ ক্যাম্পেইনে ২৩৪ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ২২৭ জন পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, ২০৬ জন সিএইচসিপি কর্মী, ৩৫৪ জন এনজিও কর্মীসহ ৩৪৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবক কাজ করবে।
উপজেলা পর্যায়ে সদর উপজেলায় ২৮৯ টি কেন্দ্রে ৪৬,১০০ জন শিশুকে, বাউফলে ৩৬১ টি কেন্দ্রে ৫০,০০০ জন শিশুকে, দশমিনায় ১৪৫ কেন্দ্রে ২১,৫০০ শিশুকে, দুমকিতে ১২১ টি কেন্দ্রে ১৩,৫০০ শিশুকে, গলাচিপায় ৪৩৩ টি কেন্দ্রে ৫০, ০০০ শিশুকে, কলাপাড়ায় ২৮৯ টি কেন্দ্রে ৪৪,৫০০ শিশুকে ও মির্জাগঞ্জ উপজেলায় ১৪৫ টু কেন্দ্রে ২২,৭০০ শিশুকে এবং পটুয়াখালী পৌরসভায় ৪৫ টি কেন্দ্রে ১১,২০০ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানোর টার্গেট রয়েছে বলে সিভিল সার্জন ডাঃ এসএম কবির হাসান জানিয়েছেন।
তিনি ১ জুন জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন দিবস সফল বাস্তবায়নে মিডিয়া কর্মীদেরসহ সর্বস্তরের মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন।