জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ অপুষ্টিজনিত অন্ধত্ব থেকে রক্ষাসহ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং শিশু মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোর লক্ষ্যে ১ জুন জাতীয় ভিটামিন” এ” প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে পটুয়াখালীতে জেলা পর্যায়ে সাংবাদিকদের নিয়ে এক ওরিয়েন্টেশন ও কর্মপরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার (৩০ মে) দুপুর ১২ টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের ইপিআই ভবনের কনফারেন্স কক্ষে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. জাফর খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া হৃদয় কর্তৃক সঞ্চালনায় ওরিয়েন্টেশনে জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইনের লক্ষ্য, উদ্দেশ্যে এবং ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানোর উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ভূপেন চন্দ্র মন্ডল। তিনি জানান, ১ জুন শনিবার সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পটুয়াখালী পৌরসভাসহ জেলার ৮টি উপজেলার ৭৩টি ইউনিয়নের ২৩৭টি ওয়ার্ডে ১৮২৮টি কেন্দ্রে ২ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানোর টার্গেট নির্ধারন করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬ মাস থেকে ১১ মাসের কম বয়সী ২৮ হাজার শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাসের কম বয়সী ২ লক্ষ ৩২ হাজার শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়নো হবে বলে জানান তিনি।
সভায় প্রজেক্টরের মাধ্যমে জেলায় জাতীয় ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়ানোর কর্মপ্লানসহ সার্বিক তথ্য তুলে ধরেন পরিসংখ্যান কর্মকর্তা খোকন চন্দ্র খাসকেল। তিনি জানান, ১ হাজার ৮২৮টি কেন্দ্রে ২৩৪ জন স্বাস্থ্য সহকারী, ২২৭ জন পরিবার পরিকল্পনা কর্মী, ২০৬ জন সিএইচসিপি কর্মী, ৩৫৪ জন এনজিও কর্মীসহ ৩৪৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবক ২ লক্ষ ৬০ হাজার শিশুকে ভিটামিন “এ” ক্যাপসুল খাওয়াবেন। জাতীয় ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাম্পেইন যথাযথভাবে সফল করার জন্য ১ম সারির ২২৫ জন সুপারভাইজার তদারকি করবেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউনিসেফ এর জেলা প্রতিনিধি রিপন কুমার দাস। এ ওরিয়েন্টেশনে স্থানীয় অর্ধশত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদ কর্মী অংশগ্রহন করেন। সিভিল সার্জন ডাঃ এস এম কবির হাসান, ১ জুন শনিবার জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন কর্মসূচী সফল বাস্তবায়নে মিডিয়া কর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।