মুঃ মুজিবুর রহমান, বাউফল, পটুয়াখালীঃ বাউফলে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ এর প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্থ বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ দেয়ার সময় পল্লী বিদ্যুৎ বাউফল জোনাল অফিসের লাইনম্যান (লেভেল-১) মোহাম্মদ হাসনাইন (২২) বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নিহত হওয়ার ঘটনায় তার সহকর্মীরা আজ বুধবার দ্বিতীয় দিনের মত আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। তারা পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। হাসনাইনের মৃত্যুর ঘটনায় অফিস কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ করেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের লাইনম্যানরা। তাদের সাথে একত্বতা জানিয়ে বিভিন্ন জোনাল অফিসের দেড় শতাধিক চুক্তিভিত্তিক লাইনম্যান (লেভেল-১) আন্দোলনে অংশ গ্রহণ করেন।
নিহত মোহাম্মদ হাসনাইন ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার চালিতাতলী গ্রামের মোঃ জামাল হোসেনের ছেলে। তিনি ১ বছর ৯ মাস আগে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বাউফল জোনাল অফিসের জুনিয়র লাইনম্যান (লেভেল-১) হিসেবে যোগদান করেন।
আন্দোলনকারীরা জানান, নিয়মানুযায়ী বিদ্যুৎ লাইনের সংযোগ কাজ করার সময় একজন সিনিয়র টেকনিশিয়াল, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার অথবা সিনিয়ার লাইনম্যান (গ্রেড-১) তত্তাবধানে জুনিয়ার লাইনম্যান লেভেল-১ কাজ করবে। কিন্তু সবক্ষেত্রে সিনিয়র সহকর্মী ছাড়াই কাজ করতে বাধ্য হন লেভেল-১ লাইনম্যান । চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ হওয়ায় চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে অতিরিক্ত কাজ করানো হয়। তাই চাকুরী হারানোর ভয়ে তারা নিশ্চুপ থাকেন।
এর আগেও, অফিস কর্মকর্তাদের চাপে অভিজ্ঞ সিনিয়র লাইনম্যান ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে গিয়ে সারা দেশে প্রান হারিয়েছেন ১৮ জন সহকর্মী। সর্বশেষ গত সোমবার প্রাণ হারিয়েছেন আরেক সহকর্মী হাসনাইন। এ ঘটনায় দায়িত্ব অবহেলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান আন্দোলনকারীরা।
উল্লেখ্য, গত সোমবার উপজেলার চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের চরনিমদী এলাকায় একটি বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করার সময় বিদ্যুৎকর্মী হাসনাইন নিহত হন।