পটুয়াখালী প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে বিদ্যালয়ের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে দোকান ও রান্নাঘর নির্মান করাসহ চাষাবাদে ব্যবহৃত ট্রাক্টর হামজা রেখে পরিবেশ বিনষ্ট করার কাজে বাঁধা নিষেধ করায় দুর্বৃত্তরা মারধর করে গলা টিপে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরীকে গলা টিপে হত্যা চেষ্টার এক অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ সন্ত্রাসী ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার ছোটবিঘাই ইউনিয়নের ৮০ নং মাটিভাংগা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
ভিকটিম নৈশ প্রহরী সোহাগ মৃধা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট পটুয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন শেষে ১১ ফেব্রুয়ারী এ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক ও সদর ইউএনও এর কাছে পৃথকভাবে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এ অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, নৈশ প্রহরী সোহাগ মৃধা ১২ বছর অধিক সময় উক্ত বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী পদে চাকুরী করে আসছে। এ অবস্থায় স্থানীয় প্রভাশালী জাহাঙ্গীর মৃধা বিদ্যালয়ের জায়গা দখল করে রান্না ঘর ও দোকান ঘর নির্মানসহ বিদ্যালয়ের ভিতরে জমি চাষে ব্যবহৃত ভারী ট্রাক্টর ও হামজা রেখে ময়লা আবর্জনায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ বিনষ্ট করে। এতে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের খেলার মাঠে ছুটাছুটি ও খেলাধূলায় বিঘ্ন সৃষ্টিতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নির্দেশক্রমে প্রতিবাদ ও বাঁধা নিষেধ করায় তাকে একাধিকবার মারধর ও হত্যা করার হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনা এটিওকে সহ উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবহিত করা হয়।
ঘটনারদিন ৭ ফেব্রুয়ারী নৈশ প্রহরী সোহাগ আনুমানিক সকাল ১০ মিনিট বাকি ৯ টার সময় বিদ্যালয়ে ট্রাক্টর ও হামজা রাখতে নিষেধ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে জাহাঙ্গীর মৃধা ও মামুন মৃধা বিদ্যালয়ে ঢুকে মারধর করে। এক পর্যায় মামুন মৃধা গলা চেপে সোহাগকে হত্যার চেষ্টা করে। এ সময় মা জুমিনা ঘটনাস্থানে এসে সোহাগকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। নৈশ প্রহরী সোহাগকে মারধর করে গলাটিপে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মা জুমিনা বেগম ঘটনার দিন ৭ ফেব্রুয়ারী মামুন মৃধা (৩২) ও জাহাঙ্গীর মৃধা (৪৫) কে বিবাদী করে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। যার নং ৩৫৪। এ অভিযোগের তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবির জানান, লোহালিয়ায় কুয়েত প্রবাসীর বাড়ির একটি ঘটনার তদন্ত কাজে ব্যস্ত থাকায় মাটিভাংগায় যেতে পারি নাই, আজ অথবা কাল তদন্তে যাবো।
এদিকে নৈশ প্রহরী সোহাগ নিরাপত্তাহীনতায় কাটাচ্ছে বলে তার মা জুমিনা বেগম জানান। তিনি এর বিচার দাবী করেন।