জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ একাধিক এজাহারভুক্ত মাদক মামলার আসামী কর্তৃক সরকারি পানির লাইন শ্রমিকদের মারধর করে নীলা ফোলা জখম করার এক অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এ সন্ত্রাসী ঘটনাটি ঘটেছে পটুয়াখালী সদর উপজেলার লাউকাঠি ইউনিয়নে।
পটুয়াখালী সদর থানায় ভিকটিম পানির লাইন শ্রমিক মো. আঃ হাই কর্তৃক লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, লাউকাঠি ইউনিয়নে ২৫০টি পানির লাইনের সংযোগ দেয়ার বরাদ্দ পেয়ে দুটি বা ৩টি ঘরপ্রতি ১টি এবং চারটি ঘরপ্রতি দুটি পানির লাইন সংযোগের কাজ শুরু করে। ঘটনার দিন আজ ২১ নভেম্বর বৃহষ্পতিবার সকাল আনুমানিক ৭.৩০ মিঃ এর সময় নির্ধারিত বাড়ি ঘরে পানির লাইন সংযোগ কাজের জন্য শ্রমিক শাহিন, শামিম, মাসুদ, রাকিব লাউকাঠি ইউনিয়নের লাউকাঠি গ্রামে মনির মিয়ার ব্রিক ফিল্ডের সামনে পৌছলে এলাকার চিহ্নিত একাধিক মাদক মামলার আসামী মো. শাহাদাৎ হোসেন ও তার জামাতা ইলিয়াস হোসেন গং শ্রমিকদের পথরোধ করে তাদের মাথায় ও হাতে পানির লাইন সংযোগ কাজের মালামাল ফেলে দিয়ে শ্রমিক শাহিন ও শামীমকে মারধর করে ফোলা জখম করে। এ সময় শ্রমিকদের প্রধান শ্রমিক আঃ হাই ঘটনাস্থলে পৌছলে তাকেও গলাধাক্কা দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এসময় এলাকার চৌকিদার এগিয়ে গেলে তাকেও গালিগালাজ করে মাদক ব্যবাসায়ী শাহাদাৎ হোসেন।
এ ঘটনায় এলাকার মেম্বার ও চৌকিদারের সহযোগীতায় ভোলা জেলার চরফ্যাশন থানার হাজারীগঞ্জ নিবাসী শ্রমিক আঃ হাই উক্ত সন্ত্রাসী মাদক ব্যবসায়ী শাহাদাৎ ও ইলিয়াস হোসেনের বিরুদ্ধে সদর থানায় দুপুরে এক লিখিত অভিযোগ করেন।
শ্রমিক আঃ হাই জানান, বিবাদী শাহাদাৎ হোসেনের বাড়িতে একটি পানির লাইন সংযোগ দেয়া হয়েছে। সে তার ঘরের পাশে থাকা বাবার ঘরে আরো একটি সংযোগ দাবী করলে চেয়ারম্যানের অনুমতি আনার জন্য বলেছি। সে চেয়ারম্যানের অনুমতি না এনে আমাকে ও আমার শ্রমিকদেরকে সংযোগ দিতে বলে। সংযোগ নাদিলে চাঁদা টাকা দিতে হবে। এ চাঁদা টাকা দিতে অস্বীকার করায় আমাকে ও শ্রমিকদের মারধর করে এবং জীবন নাশের হুমকি দেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইলিয়াস বাচ্চু বলেন, ইউপি মেম্বার ও চৌকিদার আমাকে ফোন দিয়ে মারধরের ঘটনা জানায়। তখন আমি সদর উপজেলা উন্নয়ন কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলাম। তখন বিষয়টি ইউএনও মহোদয়কে বলেছি। সদর থানার ওসিও ওখানে উপস্থিত ছিলেন। ইউএনও ওসিকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছেন।
অভিযোগের তদন্ত অফিসার এসআই বাশার জানান, দুই পক্ষকে ডেকেছি। বিবাদী শাহাদাৎ হোসেনের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে বলেও জানা গেছে। তারমধ্যে সদর থানার এফআইআর নং-২৫/১২১ তারিখ-১৩ মার্চ ২০১৭ ইং। এ ছাড়াও ২০২০ সালে ১৫ নভেম্বর সদর থানায় দায়েরকৃত এফআইআর নং- ১৯/৪৪৩, চার্জশীট : ৪০৫/২০ মামলায় সে অব্যাহতি পেয়েছে বলে সদর থানা সূত্রে জানা গেছে।