জালাল আহমেদ, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীতে বসতঘরের দরজা ভেঙ্গে ছয় ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ সাত লক্ষ আটাশ হাজার দুইশত চল্লিশ টাকা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইমরান আকন (৩৮) এর বিরুদ্ধে।
১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে পৌর শহরের পটুয়াখালী ব্রীজের নিচে এ ঘটনা ঘটে। ইমরান আকন বরিশালের ১০ নং ওয়ার্ডের ক্লাব রোড এলাকার মোজাম্মেল আকনের ছেলে।
ক্ষতিগ্রস্থ সাবিকুন্নাহার তন্নি জানান, ইমরান আকন সম্পর্কে আমার ননদের স্বামী। দীর্ঘদিন আমার ননদ ইসরাত জাহান রস্মির সাথে তার পারিবারিক সমস্যা চলে আসছিলো। ঘটনার দিন ১৪ ডিসেম্বর রাত দেড়টার দিকে আমার ননদের স্বামী ইমরান আকন, তার ভাই জামান সায়েম ও তার মামা আবুল তালুকদারসহ ১০/২০ জন লোক বাসার দরজা ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। ইমরান আকন ও তার মামা আমাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে আমার শিশু সন্তানদের ধরে বলে বাসায় টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার যা আছে তা দিয়ে দাও। আমি দিতে রাজি না হলে আমার সাথে থাকা আলমারির চাবি নিয়ে নগদ সাত লক্ষ আটাশ হাজার দুইশত চল্লিশ টাকা, ৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার এবং দোকানের মালামাল নিয়ে যায় তারা। পরবর্তীতে আমার ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আমাকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে চলে যায় ইমরান আকন ও তার সঙ্গীরা। এবিষয়ে বৃহস্পতিবার সকালে পটুয়াখালী সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন সাবিকুন্নাহার তন্নি।
এসকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইমরান আকন বলেন, বরিশালের পুলিশ গিয়ে আমার চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে। পুলিশ যাওয়ার পর আপনি ও আপনার আত্মীয় স্বজনরা আপনার শশুড়ের বাসায় গিয়ে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে আসেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, না আমি নিজে কোন নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নেইনি। এটা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ।
পটুয়াখালী সদর থানার এএসআই হুমায়ুন কবির বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চলছে।