জেছমিন, পটুয়াখালীঃ পটুয়াখালীতে দুর্যোগ মোকাবেলায় পূর্বাভাসের গুরুত্ব শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে পটুয়াখালীর মল্লিকা পার্টি সেন্টারে জিএফএফও-মাল্টি হ্যাজার্ড চাইল্ড সেন্টারড এন্টিসিপেটরি একশন প্রকল্পের আওতায় বেসরকারি সংস্থা জাগোনারী জার্মান ফেডারেল ফরেন অফিসের অর্থায়নে সেইভ দ্যা চিলড্রেন এর সার্বিক সহায়তায় এবং রাইমসের কারিগরি সহায়তায় কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
জাগোনারীর এ প্রকল্পের ব্যবস্থাপক কৃষিবিদ মোঃ মনিরুজ্জামান প্রিন্সের সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) যাদব সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো: নজরুল ইসলাম, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আহম্মেদ পারভেজ, বাংলাদেশ আবহাওয়া বিভাগের সিঃ আবহাওয়াবিদ ড. আবুল কালাম মল্লিক, ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক মোস্তফা মোহসিন ও জেলা মৎস্য বিভাগের সিঃ সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার।
এসময় প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন রাইমস এর প্রতিনিধি মোঃ তানজিল রহমান ও সেইভ দ্যা চিলড্রেন এর প্রতিনিধি সঞ্চিতা হালদার।
আবহাওয়াবিদ ড, আবুল কালাম মল্লিক বলেন, “২০১০ সাল হতে দুর্যোগ ব্যবস্থা বিভাগ পুর্বাভাস ভিত্তিক ডাটা সংগ্রহ করছে। এখন সেক্টর ভিত্তিক ডাটা সংগ্রহ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ডিসি অফিসে সকল দপ্তর মিলে একটি টীম গঠন করলে আগাম প্রস্তুতির কাজ করতে সহজ হবে। কেন্দ্রীয় পর্যায়ে একটি প্লাটফর্ম তৈরী করতে না পারলে এই দুর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব না। স্কুল পর্যায়ে ছাত্রদের নিয়ে আবহাওয়া ক্লাব তৈরী করতে পারলে এর একটা ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।”
পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর এর উপ-পরিচালক বলেন, “এ্যান্টিসিপেটারী এ্যাকশনের আগে প্রি এ্যান্টিসিপেটারীর কাজ করতে হবে। কমিউনিটিতে কতজন গর্ভবতী মা আছেন, কত দিনের মধ্যে কতজন নবজাতক শিশু ভূমিষ্ট হবে এর ডাটা থাকতে হবে। ১-৫ বছরের কতজন শিশু আছে এসকল ডাটা সংগ্রহ করা থাকলে এ্যান্টিসিপেটরী এ্যাকশন করতে সহজ হবে।”
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) যাদব সরকার বলেন, “কৃষি এবং মৎস্য খাতে নদীর উপর নির্ভরশীল কিন্তু সেই নদীর নাব্যতা হারিয়েছে শুধু হিমালয় থেকে প্রচুর পলি এসে তলানিতে পরার কারনে। জলাবদ্ধতা নিরসনে স্লুইজগেট গুলো সচল করা আর রেকর্ডিও খালগুলো দখলমুক্ত করা। খালগুলো দখলমুক্ত করতে পারলে কৃষি ও মৎস্য খাতে সামগ্রিক উন্নতি সাধন করা সম্ভব।”