পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ পটুয়াখালীতে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে দাম চড়া হলেও জমে উঠেছে ঈদ বাজার। পরিবার-পরিজনের জন্য বিশেষ করে ছেলে-মেয়েদের জন্য নতুন জামা কাপড় কিনতে শহরের নতুন বাজার, পৌর নিউমার্কেট, পুরান বাজার, সদর রোড, সবুজবাগ মোড়, পুলিশ সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন এলাকায় ছোট-বড় মার্কেট, বিভিন্ন ব্রান্ডের শপিংমলে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়। পিছিয়ে নেই ফটপাতের বেচাকেনাও। স্বল্প দামে পছন্দের নতুন পোশাক কিনতে সেখানেও দেখা গেছে ক্রেতা সাধারনের ভিড়। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার রোজার শুরু থেকেই কমবেশী কেনাকাটা শুরু করেছেন ক্রেতারা। দোকানীরাও বেচা-কেনায় সন্তুষ্ট।
বিক্রেতা দোকানীরা বলছেন, আগামী এপ্রিল মাসের ১০ অথবা ১১ এপ্রিল তারিখ উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। রমজানের শেষ দিকে আরো জমজমাট হবে বেচা-কেনা। আরো বেশী ক্রেতাদের সমাগমের প্রত্যাশা করছেন দোকানীরা। গত রবি ও সোমবার শহরের পৌর নিউমার্কেট, বড় মসজিদ সংলগ্ন সদর রোড এলাকা, পুরান বাজার ও সবুজবাগ মোড় এলাকা ঘুরে দোকানে ও শপিং মলসমূহে ক্রেতাদের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। নিউমার্কেট ও সদর রোড এলাকায় ক্রেতাদের ভিড়ে দোকানিরা ঠিকমতো বিকি-কিনি করতে হিমশিম খাচ্ছে। মেয়েদের পোশাক বিশেষ করে থ্রী পিছ, বিভিন্ন ডিজাইনের বোরকা, ছেলেদের শার্ট, প্যান্ট, পায়জামা-পাঞ্জাবী, গেঞ্জি বেশী বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। এ পোশাক বিক্রির পাশাপাশি জুতার দোকান গুলোতেও ক্রেতাদের ভিড় প্রচন্ড। একাধিক ক্রেতা জানান, আগের তুলনায় এবার সবকিছুর দাম অনেক বেশী হলেও ঈদে ছেলে-মেয়েদের জন্য কেনা-কাটা করতে হয়। নিউমার্কেটের দোকানিরা জানান, গতবছরের চেয়ে এ বছর ক্রেতাদের ভিড় বেশী। সামনে পহেলা বৈশাখেরও কেনা-কাটার চাপ পড়ছে। বেশী স্টাফ রাখতে হয়েছে। নিউমার্কেটে ৪০ বছর বয়সী একজন নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ভদ্রমহিলা জানান, কাপড় চোপড়ের দাম অনেক বেশী। ছেলে-মেয়েরা স্কুল কলেজে লেখা পড়া করে, ঈদের সময় ওদের জন্য নতুন জামা কাপড় না কিনলে ওদের মন ছোট হবে এবং বাবা-মা হয়ে সন্তানদের জন্য কেনা-কাটা না করতে পারলে ছেলে মেয়েদের কাছে ছোট হতে হয়। কষ্ট হলেও ঈদ আসলে সক্ষমতা না থাকলেও ওদের জন্য কিনতে হয়। দোকানীরা দাম কয়েকগুন বেশী চায়, এক দোকানের সেলসম্যান দুইটি থ্রি পিছ দাম চেয়েছে ৪৬০০ টাকা। সেখানে সিনিয়র সেলসম্যানের সাথে দর কষাকষি করে ঐ দুটি থ্রি পিচই শেষমেষ ৩১০০ টাকায় বিক্রি করেন। এ ধরনের কেনাকাটা সবধরনের দোকানে চলছে বলেও ঐ ভদ্র মহিলা জানান। মানুষ যাতে প্রতারিত না হয়, তার জন্য সরকারের নজরদারি প্রয়োজন।