1. info@www.southbdnews24.com : 𝐒𝐨𝐮𝐭𝐡 𝐁𝐃 𝐍𝐞𝐰𝐬 𝟐𝟒 :
বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:০৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
পটুয়াখালীতে ৭৫ পিছ ই*য়া*বাসহ এক মা*দক ব্যবসায়ী গ্রে*ফতা*র পটুয়াখালীতে ৭ দফা দাবীতে প্রাণিসম্পদ এআই টেকনিশিয়ান কল্যান সমিতির শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মানববন্ধন বাউফলের এক হ*ত্যা মামলায় ২৩ জনের যাবজ্জীবন কা*রাদ*ণ্ড পটুয়াখালীতে জমিয়াতে হিযবুল্লাহ’র উদ্যোগে মানববন্ধন ও বি*ক্ষো*ভ মিছিল গা*জায় গ*ণহ*ত্যার প্রতি*বাদে পটুয়াখালীতে ছাত্রদলের বি*ক্ষো*ভ মিছিল বাউফলে ঝাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ নিয়ে আলোচনা ও নৌকা বাইচ অনুষ্ঠিত পটুয়াখালীতে বিভিন্ন আয়োজনে স্কাউটস দিবস পালিত ফি*লিস্তি*নে ব*র্বরো*চিত হা*মলা*র প্রতি*বাদে গৌরনদীতে বি*ক্ষো*ভ ‘বাংলাদেশের রাজনীতি’ ফেক আইডি চালানো সন্দেহে আটক সিথীর জামিন ফি*লিস্তি*নে ই*সরা*ইলি ব*র্বর হা*মলা*র প্রতিবাদে পটুয়াখালীতে কয়েক হাজার নারী-পুরুষের বি*ক্ষো*ভ মিছিল

পটুয়াখালীতে ঘূর্নিঝড় রিমাল’র তান্ডবে ৩ জনের মৃত্যু, পৌর শহরসহ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, পানিবন্দী হাজার হাজার মানুষ, দুই হাজারেরও বেশী বাড়িঘর বিধ্বস্ত

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ
  • প্রকাশিত: সোমবার, ২৭ মে, ২০২৪
  • ২৩২ বার পড়া হয়েছে

জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালীতে ঘূূনিঝড় রিমাল’র তান্ডবে আরও ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা হচ্ছেন দুমকি উপজেলার জয়নাল আবেদীন হাওলাদার (৭০) ও বাউফল উপজেলার নাজিরপুর এলাকার আব্দুল করিম (৬৫)। এনিয়ে গত দু’দিনে পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড়ে মোট ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বসত ঘরের ওপর গাছ চাপা পড়ে দুমকি উপজেলার নলদোয়ানি গ্রামের জয়নাল আবেদীন হাওলাদার (৭০) আজ সোমবার সকাল ৭ টার দিকে মারা যান। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া ও ভারী বর্ষণে ঘরের পাশের রেন্ট্রি গাছ উপড়ে ঘরটি চাপা দেয় । এতে ঘরের মধ্যে থাকা বৃদ্ধ জয়নাল আবেদীন ঘটনা স্থলেই মারা যান। স্বজনরা মরদেহ উদ্ধার করেন।

অপরদিকে, আবদুল করিম নামে একজন ভিক্ষাবৃত্তি করতে বের হয়ে ভারী বর্ষণে রবিবার রাতে বাউফল শহেরর হাসপাতাল সড়কের একটি পরিত্যক্ত টিনশেড ঘরে আশ্রয় নিলে সেখান ঘরে চাপা পড়ে মারা যান। জেলা ত্রাণ ও পূনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের তান্ডবে বিভিন্ন স্থানে বেড়িবাঁধে ভেঙে জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে পটুয়াখালী পৌরশহরসহ নিম্নাঞ্চল। দিনভর জেলা শহর রয়েছে বিদ্যুৎবিহীন। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। মোবাইলের নেটওয়ার্কও হয়েছে দুর্বল।

সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পটুয়াখালী-গলাচিপা সড়কের আমখোলা ইউনিয়নের সুহরি এলাকার জলকপাটের সংযোগ সড়ক জলোচ্ছাসের কারণে ভেঙে গেছে। আজ সকাল থেকে এই সড়কে যান চলাচল বন্ধ ছিলো। জেলা শহর থেকে মির্জাগঞ্জ উপজেলা সড়কের শহরের চৌরাস্তা এলাকায় অনেক গাছ ভেঙে পড়েছে। বন্ধ হয়ে গেছে পটুয়াখালী-মির্জাগঞ্জ সড়কে চলাচল। জেলা প্রশাসকের বাসভবনের সামনে চারটি বড় চাম্বলগাছ উপড়ে পড়েছে। বিচ্ছিন্ন চরাঞ্চল এলাকা ৫ থেকে ৮ ফুট উঁচুর জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) পটুয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ রহমান জানান, জোয়ারের জলোচ্ছাসে জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার চালিতাবুনিয়া ইউনিয়নে ৪৯ নং পোল্ডারের বিভিন্ন পয়েন্টে প্রায় এক কিলোমিটার ও চর মোন্তাজ ইউনিয়নের ৫৫/৪ নং পোল্ডারের বিভিন্ন পয়েন্টে অন্তত দেড় কিলোমিটার বেড়িবাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ দিকে গলাচিপা উপজেলার চরবিশ্বাস ইউনিয়নের বেড়িবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসাইন বলেন, তাঁর ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ৫৫/৩ পোল্ডারের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধ ভেঙে পূর্ব চরবিশ্বাসের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। চরবাংলায় কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় তেঁতুলিয়া নদীর জোয়ারের জলোচ্ছাসে আশপাশ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন চরের প্রায় দুই হাজার মানুষ।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো আরিফ হোসেন আরও জানান, জেলায় ১৪ কিলোমিটার বাঁধ ঝুকিতে ছিলো। এর মধ্যে অন্তত ৬ কিলোমিটার জোয়ারের জলোচ্ছাসে আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।পটুয়াখালীতে পানির উচ্চতা বেড়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। আজ দুপুরে জোয়ারের সময় পানি বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের জলোচ্ছাসে ৯ হাজার ১৫০টি পুকুর ও ৭৭৫টি ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। ক্ষতির পরিমান ২৮ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা। এছাড়াও অবকাঠামো ক্ষতি হয়েছে ১৩ কোটি ৩৩ লাখ টাকা।

পটুয়াখালী জেলা আবহাওয়া দপ্তরের ইনচার্জ মাহবুবা সুখী জানান, আজ সোমবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ২১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দুপুর ১ টা ১৭ মিঃ বাতাসের গতিবেগ ছিলো সর্বোচ্চ ১১৪.৭ মিঃ মিঃ।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন দেবনাথ বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালে জেলায় দুই হাজারেরও বেশী ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছ। এর মধ্যে ২৩৫টি বাড়িঘর সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এবং আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এক হাজার ৮৪৫টি।

এদিকে দিনভর জেলা শহর রয়েছে বিদ্যুৎহীন। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন অনেক মানুষ। মোবাইলের নেটওয়ার্কও হয়েছে দুর্বল। শহরের সকল সড়ক ৩ থেকে ৪ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পানিতে তলিয়ে গেছে। ঘূর্নিঝড় রিমাল’র তান্ডবে প্রায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ গ্রাম এলাকায় জোয়ার ও বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে থাকার কারনে ২৯ মে অনুষ্ঠিতব্য পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি উপজেলার ৩য় ধাপের নির্বাচনের ভোট গ্রহন স্থগিত করা হয়েছে বলে রিটার্নিং অফিসার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক যাদব সরকার নিশ্চিত করেছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন
সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
প্রযুক্তি সহায়তায়: ইয়োলো হোস্ট