সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক এবং সিএনজি চালিত অটোরিকশা সহজলভ্য যানবাহন যা সাধারণ মানুষজন নিয়মিতভাবে ব্যবহার করে চলছেন। আর নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারের উপার্জনের একমাত্র সহায়ক হিসেবে ব্যপক বিস্তৃতি লাভ করেছে এ সকল যানবাহন। ইদানীং দেখা যায় এই যানবাহনগুলো হরহামেশাই হারিয়ে যাচ্ছে, এমনকি চালককে হত্যা করেও এসব যানবাহন হাতিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন চক্রের সদস্যরা। এতে আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন শত শত পরিবার। এছাড়াও এই চুরি করা ইজিবাইকগুলোর রঙ ও গঠন পরিবর্তন করে এগুলো বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা হতো।
পটুয়াখালীতে ইজিবাইক চোর চক্রের বেশ কিছুদিন ধরে এমন কার্যক্রম চলছে। আর এই বিষয়টি মাথায় নিয়ে র্যাব-৮, সিপিসি-১, পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি বিশেষ আভিযানিক দল গত ০৬ জুন ২০২৪ ইং তারিখ বিকাল ৪: ৩৫ ঘটিকায় পটুয়াখালী জেলার সদর থানাধীন বাস টার্মিনাল এলাকায় নিয়মিত টহল ডিউটি করা কালে আনুমানিক ৫ ঘটিকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, পটুয়াখালী জেলার পটুয়াখালী সদর থানাধীন মরিচবুনিয়া ইউনিয়নের পাটুখালী সাকিনস্থ পাটুখালী বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশের গণি সিকদার এর কালভার্ডের উপর কতিপয় ব্যক্তি কর্তৃক চোরাই ইজিবাইক ক্রয় বিক্রয় করছে।
প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনার সত্যতা যাচাই এর লক্ষ্যে ৫ : ৩০ ঘটিকার সময় উল্লিখিত স্থানে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ইজিবাইকযোগে পালানোর চেষ্টাকালে ০২ জন ব্যক্তি ১। মোঃ রুবেল মোল্লা (২৭), পিতা- মোঃ আবু তালেব মোল্লা, সাং- পশ্চিম টাউন কালিকাপুর, ২। মোঃ সজীব মুন্সি (৪২), পিতা- মোঃ আব্দুল মান্নান মুন্সি, সাং- ছোটবিঘাই, সর্বথানা-পটুয়াখালী সদর, জেলা-পটুয়াখালীদের কে আটক করা হয়। অতঃপর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে ইজিবাইকটির বৈধ মালিকানা বা কাগজপত্র প্রদর্শন করতে ব্যর্থ হয়।
পরবর্তীতে অভিযুক্তদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদকালে তারা জানায় যে, আরও ১টি চোরাই ইজিবাইক পটুয়াখালী সদর থানাধীন হেতালিয়া বাধঘাটস্থ সেতারা ক্লিনিক রোডের একটি ইজিবাইক গ্যারেজে আছে। অভিযুক্তদের স্মীকারক্তি মোতাবেক র্যাব উপরোক্ত স্থানে রাত ৮টায় অভিযান পরিচালনা করে গ্যারেজ হতে অভিযুক্ত ৩। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (২৭), পিতা-মৃত আব্দুর রশিদ সরদার, সাং-পশ্চিম আউলিয়াপুর, সর্বথানা-পটুয়াখালী সদর, জেলা-পটুয়াখালী এর হেফাজত হতে আরও ১টি ইজিবাইক উদ্ধার করে। অভিযুক্ত দেলোয়ার উক্ত ইজিবাইকের কোনো বৈধ কাজগপত্র দেখাতে পারে নাই। এছাড়াও গ্যারেজ এর ভিতর পাওয়া যায় অনেক গুলো স্প্রে -পেইন্ট এর বোতল যা দিয়ে তারা তাৎক্ষণিক রঙ পরিবর্তন করে বলে জানায় ৩ নং অভিযুক্ত।
অতঃপর ধৃত অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অভ্যাসগতভাবে চুরি করে চোরাই মাল নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধের সাথে জড়িত থাকার কারনে তাদের বিরুদ্ধে পটুয়াখালী সদর থানায় হস্তান্তর করা সহ ১৮৬০ সালের পেনাল কোডের ৩৭৯/৪১১/৪১৩ ধারায় নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে।