মু. হেলাল আহম্মেদ (রিপন), পটুয়াখালীঃ আসন্ন ৯ মে পটুয়াখালী জেলার দুমকী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী সার্বিক পরিস্থিতির উপর সংবাদ সম্মেলন করেন দুমকি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ কাওসার আমিন হাওলাদার (মাল্টা কাউসার)। আজ সোমবার (৩ জুন) বিকাল ৩টার সময় দুমকী (পবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিমুখে স্টার রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কাওসার আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, “আমার দুমকী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থীতা বৈধ ঘোষণা হওয়ার পর থেকে এপর্যন্ত আমি ও আমার সমর্থকদের উপর পরপর পাঁচবার হামলার শিকার হয়েছি। প্রতিপক্ষের হামলায় অনেকেই গুরুতর আহত হয়েছে। যার মধ্যে একজন গুরুতর হামলার শিকার হয়ে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।”
তিনি আরো বলেন, “আমি দীর্ঘদিন প্রবাসে কর্মরত ছিলাম। আজ আমি আমার দুমকী উপজেলার মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের সেবা করার জন্য জীবন উৎসর্গ করতে চাই। অথচ আমার প্রতিপক্ষ মটর সাইকেল মার্কার প্রার্থী হারুন অর রশিদ হাওলাদার তার পেটোয়া বাহিনী ও পটুয়াখালী সদর আসনের এমপি রুহুল আমিন হাওলাদারের মদদে বার বার হামলা চালাচ্ছে।”
এসময় তিনি আরো বলেন, আগামী ৯ মে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমি সন্ধিহান আদৌ কি সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কিনা। আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে পটুয়াখালী জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে আহ্বান করছি, আপনারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করে দেন। আমি আপনাদের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।”
কাওসার আমিন হাওলাদার এর উপর প্রতিপক্ষ হারুন অর রশিদ এর পেটোয়া বাহিনী দিয়ে হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা আমার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। আমি কোনো দাঙ্গা হাঙ্গামার রাজনীতি করি না। আমিও চাই অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন হোক। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”
কাওসার আমিন বলেন, “আমার উপর হামলার বিষয় দুমকি পুলিশ প্রশাসনকে অবগত করার পরেও এর কোন সুষ্ঠু সমাধান মেলেনি। এ বিষয়ে দুমকী থানার ওসি মোঃ শফিউর রহমান এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান, “আমরা অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।”