মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী: মোবাইল ব্যাংকিং নম্বর পরিবর্তনের মাধ্যমে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলা সমাজ সেবা অফিসের লোকজনের বিরুদ্ধে। তবে উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারে উদ্যোক্তা মো. রাব্বি’র সহকারী হিসবে কর্মরত সৈকত নামে এক ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে ওই টাকা আত্মসাত করা হয়েছে বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
ভুক্তভোগী শারীরিক প্রতিবন্ধী মোসারেফ হোসেন (৫২) উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের রুস্তম আলী হাওলাদারের ছেলে।
টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে প্রতিবন্ধী মো. মোসারেফ হোসেন জানান, ভাতা দেয়ার শীটে তার দেয়া মোবাইল ব্যাংকিং নগদ নম্বর পরিবর্তন করে এবছরের এপ্রিলের ৮ তারিখ অজ্ঞাত ব্যক্তির (০১৭৮৭-৪০৪৭০৮) মোবাইল নম্বরে প্রায় ৮ হাজার টাকা পাঠানো হয়েছে। অর্থের অভাবে তার ছেলে মহিবুল্লাহ’র চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষার বোর্ডের ফরম পূরণ করতে পারছেন না তিনি।
জানা যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী মোসারেফ হোসেনের ৪ মেয়ে ও ১ ছেলের সংসারে তিনিই একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। উপজেলা উদ্যোক্তা সেন্টার থেকে যথাযথ নিয়মেই প্রতিবন্ধী ভাতার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। কার্ডে ও আবেদনে তার দেয়া নম্বর রয়েছে।
দুমকী উপজেলা ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মো. রাব্বি জানান,, “আমার কাজ হলো ভাতাভোগী যেভাবে ডকুমেন্টস দিবেন সেভাবে এন্ট্রি দেয়া। আসলে কার আবেদন পাস হল আর কারটা হল না, এটা আমি জানিও না। আমার কারনে কোন ভাতাভোগী ক্ষতিগ্রস্ত হন না।” কিন্তু সৈকতের মোবাইল নম্বর বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সমাজ সেবা অফিসার মু. অলি উল রহমান বলেন, “সে (মোসারেফ) কোন জায়গা থেকে অনলাইনে আবেদন করেছেন বা কাকে দায়িত্ব দিয়েছেন তা তো আমরা জানি না। এ নম্বরটা আসলে কার, কোন কারনে ওই নম্বরে টাকা গেলো আমরা তা তদন্ত করে দেখতেছি।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিন মাহমুদ বলেন, “বিষয়টি আমি তদন্ত করে দেখতেছি। আসলে সমস্যাটা কোথায় হল।”