মো. রিয়াজুল ইসলাম, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দুমকিতে লাঙ্গল ও ডাব মার্কার সমর্থকদের মাঝে সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের লোকজন একে-অপরকে দোষারোপ করেছেন।
সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কো-চেয়ারম্যান এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের লাঙ্গল প্রতীকের মিছিল ও বালুর মাঠে সভা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাসুদ আল মামুনের নেতৃত্বে দুমকি পীরতলা বাজারে লিফলেট বিতরণ করেন। অপর দিকে একই স্থানে পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম মৃধা ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাবু শৈলেন চন্দ্রের নেতৃত্বে ডাব প্রতীকের সমর্থনে গণসংযোগ করা হয়। এ সময় উভয় পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। আহতরা হলেন- লাঙ্গল প্রতীকের রিপন হাওলাদার (৪০) মানসুর আলম (৩৩), শাহিন গাজী (৩১)। অপর দিকে ডাব প্রতীকের মো: বেল্লাল (৩৫), শহিদুল ইসলাম(২৪)। গুরুতর আহত রিপন হালদারকে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তিকৃতদের তথ্য পাওয়া যায় নি। জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবু শৈলেন চন্দ্রের সাথে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা ইউনুস আলী মৃধা ও মোঃ শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সাথে দুমকীর পিরতলা বাজারে ভোটারদেরকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধ করছিলাম এমন সময় উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাসুদ আল মামুনের নেতৃত্বে কতিপয় উচ্ছৃঙ্খল কর্মী আমাদের ছাত্রলীগ কর্মীদের ওপরে হামলা চালায়। এতে ছাত্রলীগের ৫ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে।
উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি মাসুদ আল মামুন বলেন, আমরা বালুর মাঠে জনসভা শেষে দুমকীর পীরতলা বাজারে লিফলেট বিতরণ করতে গেলে আমাদের ওপর ডাব মার্কার সমর্থকরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ৫ জন নেতা কর্মী আহত হয়েছে। গুরুতর আহত ৩ জনকে দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হযেছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখন পর্যন্ত কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।