জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ প্রজন্মের পর প্রধান ও একমাত্র খাদ্য হিসেবে মাতৃদুগ্ধ গ্রহন করে বেঁচে থাকে মানব শিশুরা। পাশাপাশি গরুর দুধ মানুষের জন্য পুষ্টিকর ও সুষম খাবার। সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই পুষ্টিকর দুধের চাহিদা। তাই এই দুধের ঘাটতি পূরনে সরকার নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে। দুধের ঘাটতি পূরনে সরকার “সমবায়ে গড়ছি দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ” এ শ্লোগান নিয়ে “দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারন” প্রকল্পের আওতায় তৃণমূল পর্যায়ে সুবিধাভোগীদেরকে গাভী পালনে দিচ্ছে স্বল্প সুদে ঋনের চেক বিতরন।
এরই ধারাবাহিকতায় পটুয়াখালী সদর উপজেলায় জৈনকাঠি ইউনিয়ন দুগ্ধ সমবায় লিঃ ও কালিকাপুর ইউনিয়ন দুগ্ধ সমবায় সমিতির ৫০ জন সদস্যকে দুটি করে ফ্রিজিয়ান জাতের বকনা গাভী কেনার জন্য প্রত্যেককে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা করে ৮০ লাখ টাকার ঋনের চেক বিতরন করা হয়।
শনিবার (২৯ জুন) বেলা ১১ টায় পটুয়াখালী সদর উপজেলা পরিষদের মধুমতি হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ডাঃ সঞ্জীব দাশের সভাপতিত্বে ঋণের চেক বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে সুবিধাভোগীদের মাঝে ঋনের চেক বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম। এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সমবায় অধিদপ্তর ঢাকার প্রকল্প পরিচালক তোফায়েল আহম্মদ, জেলা সমবায় অফিসার সুস্মিতা গোলদার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা সমবায় অফিসার মো. হারুন-অর-রশিদ। উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা অফিসার মো. জহিরুল ইসলাম, উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সাইদ হাসান, কালিকাপুর ইউপি চেয়ারম্যান সালমা জাহান, উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের সহকারী পরিদর্শক সুশান্ত কুমার দাস, জেলা সমবায় কার্যালয়ের সহকারী নিবন্ধক মো. কামরুজ্জামান। সুবিধাভোগীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন কালিকাপুর দুগ্ধ সমবায় সমিতির সদস্য মো. নিজামুল হক।
উল্লেখ্য, পরবর্তীতে গাভী গরু কেনার পর খাদ্য বাবদ প্রত্যেক সুবিধাভোগীকে আরও ৪০ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে বলে জানান উপজেলা সমবায় অফিসার মো. হারুন অর রশিদ। তিনি আরও বলেন, প্রদত্ত দুই লাখ টাকা ঋন গ্রেস পিরিয়ড বা এক বছর পর ৩০ মাসের মধ্যে ৩০ কিস্তিতে দুধ বিক্রি করে ঋনের টাকা পরিশোধ করবে সুবিধা ভোগীরা। ফ্রিজিয়ান জাতের গাভী গরু দিনে প্রায় ২০ থেকে ৩০ লিটার দুধ দিবে বলেও জানান তিনি। এ ঋনের চেক পেয়ে খুশী সুবিধাভোগীরা।
প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক বলেন, “দুগ্ধ ঘাটতি উপজেলায় দুগ্ধ সমবায়ের কার্যক্রম সম্প্রসারন” প্রকল্পের আওতায় তৃণমূল পর্যায়ে গাভী পালনে দুধের উৎপাদন বাড়বে, নতুন কর্মসংস্থান তৈরী হবে এবং নারীর ক্ষমতায়ন হবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে বিশাল ভূমিকা রাখবে।