এম জাফরান হারুন, পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর দশমিনায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সোহেল খাঁ (৩৫) এর পুরুষাঙ্গ কেটে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন (৪০) কে আটক করেছে পুলিশ।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার (২২শে মার্চ) দিবাগত মধ্যরাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূজাখলা এলাকায় ওই দম্পতির ভাড়া বাসায়। স্বামী সোহেল খাঁ সদর ইউনিয়নের ০৩ নং ওয়ার্ডের কাউনিয়া গ্রামের মোঃ বেল্লাল ভান্ডারীর বড় ছেলে এবং স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন একই গ্রামের বাসিন্দা মৃত ছত্তার কাজির মেয়ে।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, প্রায় ২০ বছর আগে পারিবারিকভাবে সোহেল ও সাবিনা ইয়াসমিনের বিবাহ হয়। স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন নানা কারনে অকারনে কলহ বিদ্যমান ছিলো। তারই জের ধরে ওইদিন মধ্যরাতে সোহেল নিদ্রায় থাকা অবস্থায় স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন ধারালো ছুরি দিয়ে তাহার পুরুষাঙ্গ কেটে দেয়। পরে সোহেলের ডাকচিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে দেখে সোহেল রক্তাক্ত অবস্থায় পরে রয়েছে।
পরবর্তীতে সোহেলের প্রতিবেশীরা দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরিশাল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বর্তমানে আশংকাজনক আবস্থায় ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়ান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে।
সোহেলের বাবা বেল্লাল ভান্ডারী জানান, "ঘটনার বিষয়ে কিছু জানিনা। রাতে সোহেলের খবর শুনে হাসপাতালে এসে বিষয়টি দেখি। ছেলের অবস্থা আশংকাজনক তাই দশমিনা হাসপাতাল থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকায় রেফার করেন। বর্তমানে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।"
দশমিনা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ মিঠুন জানান, "সোহেলকে নিয়ে আসলে দেখা যায় তার পুরুষাঙ্গের এক তৃতীয়াংশ কাটা এবং ডান রানে পোচের জখম। ২২—২৫ টি শেলাই করা হয়েছে। সোহেলের অবস্থা আশংকাজনক। তাই উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে।"
দশমিনা থানার ওসি নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হযেছে এবং ঘটনাস্থল থেকে স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে আটক করা হয়েছে। এদিকে সোহেলের পুরুষাঙ্গ কাটায় ব্যবহৃত একটি ধারালো ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। আর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন আছে।