মু. জিল্লুর রহমান জুয়েল, গলাচিপা, পটুয়াখালীঃ অপার সম্ভাবনাময় পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলার বোয়ালিয়া ইকো ট্যুরিজম পার্ক “জলতরঙ্গ”। উপজেলাটি নদী বেষ্টনী হওয়াতে জনসাধারণ বা বিনোদন প্রেমিদের কোন স্থান না থাকায় সাবেক উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ মহিউদ্দিন আল হেলাল এর পরিকল্পনায় ঐতিহ্যবাহী ১৫ কোপাট স্লুইসগেট বোয়ালিয়া খালে যৎসামান্য অর্থ বরাদ্দে স্বল্প পরিসরে বাস্তবায়ন করেছেন এলজিইডি।
সরকারি তথ্য মতে, নদীবেষ্টিত গলাচিপা উপজেলাটির মোট আয়তন ৯২৪.৬৮ বর্গ কিলোমিটার অথবা (৩৫৭.০২ বর্গমাইল)। মোট জনসংখ্যা ২৫ লাখ ৮ হাজার ৫ শত ২৫ জন হলেও ২০২৩-২৪ সালের গনশুমারীতে জনসংখ্যা আরো বৃদ্ধি হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারনা।
তথ্য বলছে, শহরটি ১২টি ইউনিয়ন নিয়ে ১৯৮৪ সালে উপজেলা এবং ১৯৯৪ সালে একটি আধুনিক পৌরসভায় উন্নীত হয়। তবে বিভিন্ন সময়ে সরকার পরিবর্তন হলেও, প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আজ পর্যন্ত শিশু পার্ক, ইকো পার্ক বা বিনোদনমূলক কোন অবকাঠামো গড়ে উঠেনি।
যুগোপযোগী বর্তমান আধুনিক সময়ে পরিবেশ, বাসস্থান ও শিক্ষার পাশাপাশি বিনোদনের কোন বিকল্প নেই বলে বিভিন্ন শুধী মহলের অভিমত। বিভিন্ন জনসাধারণ এর মতামত, ইকো ট্যুরিজম পার্ক “জলতরঙ্গ” নির্মাণ হলে, বিনোদনের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠবে, বাড়বে কর্মস্থল, তৈরী হবে আধুনিক গ্রাম বা পর্যটন স্থান।
সরজমিনে দেখা যায়, পরিপূর্ণভাবে ইকো ট্যুরিজম পার্ক “জলতরঙ্গ” নির্মাণ হওয়ার পূর্বেই শিশু কিশোর ও বিভিন্ন বিনোদন প্রেমীরা একটু বিনোদনের খোঁজে দূরদূরান্ত থেকে ছোট ছোট শিশুদের নিয়ে অভিভাবক, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার জনসাধারণ ঘুরতে আসেন।
গলাচিপা উপজেলা বাসীদের দীর্ঘ দিনের দাবী পূরনের কিছুটা হলেও শহর থেকে প্রায় ৬ কিলোমিটার দূরে বোয়ালিয়া জলতরঙ্গ বিনোদন কেন্দ্র ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণের আলোর মুখ দেখা গেলেও অর্থ বরাদ্দের অভাবে পরিকল্পনা অনুযায়ী দৃষ্টিনন্দন ইকো ট্যুরিজম পার্ক নির্মাণ বন্ধ হওয়ার উপক্রম। তাই, তাদের দাবী শুরু হওয়ার আগেই যেন দীর্ঘ দিনের আশার প্রদীপ নিভে না যায়, সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখবেন এমনটাই তাদের প্রত্যাশা।