সাউথ বিডি নিউজ ২৪ ডেস্কঃ পটুয়াখালীতে অবশিষ্ট খাবার কুকুরকে খাওয়ানোর অভিযোগে মসজিদের ইমাম সাহেবকে ঝাড়ু পেটা করে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন নামের এক স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারী) রাতে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে এসে এ ঘটনার বিচার চেয়েছেন ওই ইমাম।
এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ২ টার দিকে বাউফল উপজেলার কালিশুরী ইউনিয়নের শিংরাকাটি গ্রামের আল মদীনা জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলো কালিশুরী ইউনিয়ন ১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন ও মসজিদের সহ-সভাপতি আবদুর রব। তারা মসজিদে আসার আগে কোন নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হলে মসজিদ থেকে ইমাম তাড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসী।
ওই ইমাম সাহেব পটুয়াখালী প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে বলেন, “প্রায় ৪ মাস আগে শিংরাকাটি আল মদীনা জামে মসজিদের ইমাম হিসাবে চাকরি হয়। ডিসেম্বর মাসে শারীরিক অসুস্থতার জন্য একদিন ফজরের আজান দিতে বিলম্ব হয়েছে। এতে মসজিদে এসে আমাকে অনেক গালমন্দ করেন জাহাঙ্গীর হোসেন ও আবদুর রব। পরে মসজিদ থেকে বের হয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয় তারা । বিষয়টি মসজিদ কমিটির সবাইকে জানালে তারা মিমাংসার কথা বলেন। তবে কোন সমাধান হয়নি।”
তিনি আরও বলেন, “বৃহস্পতিবার সকালে জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে আমার জন্য খাবার পাঠানো হয়েছে। তবে আমি তাদের দেয়া সম্পূর্ন খাবার খাইতে পারি নাই। পরে অতিরিক্ত খাবার একটা পোষা কুকুরকে দিয়েছি। এতে দুপুর ২ টার দিকে মসজিদে এসে আমাকে ঝাড়ু পেটা করেন জাহাঙ্গীর। এসময় তার স্ত্রী এসে বাঁধা দেয়। পরে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর ও মসজিদের সহ-সভাপতি আবদুর রব এসে আমাকে লাঞ্ছিত করে মসজিদ থেকে বের করে দেয়। এসময় জাহাঙ্গীর হোসেনের বাসা থেকে দেয়া দুপুরের খাবার খাচ্ছিলাম আমি, ওই খাবারগুলোও ফেলে দেয় তারা। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই, আর যাতে কোন ইমামের সাথে এরকম ঘটনা না ঘটে।”
আল মদীনা জামে মসজিদের সভাপতি মোঃ ইউনুস মিয়া বলেন, “আমি বাড়িতে থাকিনা, তবে ভিডিওতে দেখেছি, ঝাড়ু নিয়ে একজন ইমাম সাহেবের কাছে যাওয়ার বিষয়টি খুবই দুঃখজনক।”
অভিযুক্ত মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, “আমি ওই ইমামের পিছনে ১ মাস পর্যন্ত নামাজ পড়িনা। তবে মসজিদ কমিটি বলছে, এতে ইমাম সাহেবকে খাবার দিয়েছি। না খাইলে আমার খাবার ফেরত দিবে, কুকুরকে দিয়েছে কেনো। এতে আমি গালমন্দ করেছি।” আপনি মসজিদে গিয়ে ইমামকে ঝাড়ু-পেটা ও মারধর করেছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা আমার অন্যায় হইতে পারে।”
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ কামাল হোসেন বলেন, “এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”