জালাল আহমেদ, প্রধান প্রতিবেদকঃ পটুয়াখালী হেতালিয়া বাঁধঘাটস্থ জেলা মারকাজ মসজিদে শুক্রবার সাপ্তাহিক শবগুজারী আমল চলাকালে মাগরিব নামায পূর্ব মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওঃ মো. সাইদুল ইসলাম এর নেতৃত্বে ৪০ থেকে ৫০ জন জোবায়ের পন্থী লাঠিসোটা নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে মিম্বারে বয়ান চলাকালে হামলা চালিয়ে সা’দ পন্থী মুসুল্লী সাথীদের মারধর করে। এ সময় আহত সা’দ পন্থীদের ডাকচিৎকারে মসজিদের সামনে অবস্থানরত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা মসজিদের ভিতরে ঢুকে ইমাম ও হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। ইমামকে মারধর নয় বরং ইমামের নেতৃত্বে জোবায়ের পন্থী সন্ত্রাসীদের হামলায় সা’দপন্থী ওলামায়ে কেরাম ও সাধারণ মুসুল্লীরা শারীরিকভাবে হেনস্থা ও লাঞ্ছনার শিকার হয়েছে বলে দাবি করেন সা’দপন্থী তাবলীগ ওলামা মাশায়েখ নেতৃবৃন্দ।
রবিবার (১২ জানুয়ারী) পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে জনাকীর্ন এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন সা’দ পন্থীদের পক্ষে মাহমুদুর রহমান লিটু।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১০ জানুয়ারী শুক্রবার মাগরিবের নামাজের পূর্বে মারকাজ মসজিদের ইমাম সাইদুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় ৪০/৫০ জন জোবায়ের পন্থী সন্ত্রাসী লাঠিসোঁটা নিয়ে মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে সা’দ পন্থীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন কু-রুচিপুর্ন স্লোগান দিয়ে আমাদের (সা’দপন্থীদের) উপর হামলা করে। মসজিদের ভেতরে এরকম হামলায় হতভম্ব হয়ে পরে সাধারণ মুসল্লীরা। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মসজিদের ভেতরে ঢুকে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার সবাইকে ধৈর্য্য ধরার আহবান জানান এবং এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওলামা মাশায়েখ তাবলীগী নেতৃবৃন্দ ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবী সমূহ হচ্ছে- জেলা মারকাজ মসজিদের ইমাম মাওলানা সাইদুল ইসলামকে ইমাম পদ থেকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণ করা, জোবায়ের পন্থী সাইদুল ইসলামকে দ্রুত গ্রেফতার করা, মারকাজ মসজিদে যেহেতু দুই পক্ষই আলাদা আমল করেন সেহেতু যেদিন যে পক্ষ আমল করবেন ঐদিন ঐ পক্ষের ইমাম, মুয়াজ্জিন মসজিদে আজান, নামাজসহ সকল খেদমত সম্পন্ন করবে বলে দাবি জানানো হয়। জেলায় উভয় পক্ষের কোন ইজতেমায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে বাঁধা দিতে পারবে না। যদি বাঁধা দেয় তবে সেই পক্ষ দোষী হবে এবং সরকার তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে। টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে গত ১৭ ডিসেম্বর ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত খুনীদের গ্রেফতার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে, মিথ্যা হত্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে, টঙ্গীর ইজতেমা মাঠ ও কাকরাইল মসজিদ আমলের জন্য উভয় পক্ষকে সমানভাবে ব্যবহার করতে দিতে হবে প্রভৃতি। জোবায়ের পন্থীরা আল আমিনের উপর যে হামলার কথা বলেছে তা মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং জোবায়ের পন্থীদের হামলায় সা’দপন্থিদের লোকজন আহত হন। যার ভিডিও ফুটেজ দেখলে সবাই প্রকৃত ঘটনা দেখতে পারবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব আঃ হাই হাওলাদার, মো. আল আমিন, আহম্মদ ফয়সাল, মাওঃ মাসুদুর রহমান, মাওলানা জুনায়েদ ও মাওলানা আব্দুর রশিদ প্রমুখ ওলামা মাশায়েখ।